যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের পঞ্চম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রোকাসানা জামান ঐশী।আজ ১৮ই জানুয়ারি সোমবার ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে বেলা দুইটার দিকে যশোরের চৌগাছ থেকে শহরমুখী মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলে থাকা এক নারীও।
দূর্ঘটনার পর তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম আর খান মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান তার সহপাঠীরা। মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, “দুর্ঘটনায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঐশী দাঁতে গুরুতর ব্যথা পেয়েছেন এবং মোটরসাইকেল আরোহী মেয়েটি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফার্মেসি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী রোকসানা জামান ঐশী সড়ক পার হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকছিলেন। তখন একপাশে যশোর-চৌগাছা রুটের এটি বাস যাত্রী তুলছিলো ও শহর থেকে চৌগাছার দিকে একটি এম্বুলেন্স যাচ্ছিলো। এ সময় বিপরীত দিক থেকে যশোর শহরমুখী মোটারসাইকেলের চালক এম্বুলেন্স ও বাসকে সামাল দিতে গিয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান ও ঐশীর মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি ধাক্কায় দাতসহ মুখে প্রচন্ড আঘাত পান। চালকসহ মোটরসাইকেলে থাকা নারী পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে যান।
ইতিপূর্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে কয়েকবার এরকম দূর্ঘটনা ঘটেছে। শেষ গত বছরের জানুয়ারিতে একটা দূর্ঘটনা ঘটার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। পরের দিনে যশোর শহরস্থ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে বিশাল মানববন্ধন এবং ক্যাম্পাসের সম্মুখের যশোর-চৌগাছা সড়কে গতিরোধক নির্মাণ, কংক্রিটের ফুটপাত নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের চাপে পড়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে ক্যাম্পাসের সম্মুখে গতিরোধক নির্মাণ করে দেয়। কয়েকমাস পরে সড়ক পুনর্নির্মাণের সময়ে সেই গতিরোধক তুলে ফেলা হয় এবং এখন পর্যন্ত এই অবস্থায় রয়েছে।

ফোন- ০১৯০২- ৮৯৬ ০০০